বন্যা প্রকোপ অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গুলি আলোচনা কর
![]() |
বন্যা প্রকোপ অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গুলি আলোচনা কর
যখন একটি নদী তার তীর অতিক্রম করে এবং আশেপাশের জমিকে গ্রাস করে তখন এটি বন্যার সৃষ্টি করে । বন্যা মানুষের ক্ষতি করে, চারপাশকে দূষিত করে । বন্যাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা হয় । কিন্তু বন্যা মানুষের ক্রিয়াকলাপ এবং প্রাকৃতিক শক্তি উভয়ের কারণেই ঘটে ।
ভারতের বন্যাপ্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশ । প্রতি বছর, বন্যা কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ ধ্বংস করে । বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার তহবিলের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হারিয়ে গেছে । বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে সরকারি কোষাগারের অতিরিক্ত কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হবে । সব মিলিয়ে বন্যা ভারতের অর্থনীতি ও সমাজকে বিপর্যস্ত করে।
বন্যা প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ:
- বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বহু উদ্দেশ্যসাধক নদী পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে (Multipurpose River Valley Project)
- "ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট" বা জলাশয় সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ, যেমন পুনঃবনায়ন এবং মাটির ক্ষয় রোধ করা হয়েছে।
- ঝুঁকিপূর্ণ নদীতীর, পাঁচিলের পাশে বাঁধ নির্মাণ
- কারিগরীর মতো প্রযুক্তিগত কৌশল যথাযথভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে।
- নদীর গভীরতা সংরক্ষণের জন্য, নদীর তল থেকে নিয়মিত ময়লা অপসারণের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এটিকে ড্রেজিং বলা হয় ৷
- পার্বত্য অঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসের মধ্যে সম্পর্ক
- বন্যা ও ভূমিধস বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী ও স্থায়ী শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
- বন্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে, বন্যাপ্রবণ স্থানে জমির যথাযথ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম তৈরি করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
- প্রবল ঝড়, বৃষ্টি ইত্যাদির মতো দুর্যোগের আগে মানুষকে সতর্ক করার জন্য আবহাওয়া দফতরের জন্য প্রতিদিনের আবহাওয়া নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
